অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে যারা হামলা চালিয়েছে তারা তারা কোন কিছু দাবি করেনি বা কোন শর্ত দেয়নি।
তার মতে অস্ত্রধারী আক্রমণকারীরা যারা ২০ জনকে হত্যা করেছে তারা উচ্চ শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের সন্তান।
কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস শুক্রবারের ওই হামলার দায় স্বীকারের দাবি করলেও মিস্টার খান তাও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে জঙ্গিদের হাতে নিহতদের মৃতদেহ আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয় যে রেস্তোরায় হামলাকারী জঙ্গিরা তিনটি শর্ত দিয়েছে।
কিন্তু রয়টার্সের সাথে সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এটি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে সাত জন জঙ্গি ২০জনকে হত্যা করেছে তারা কোন শর্ত দেয়নি বা কোন কিছু দাবি করেনি।
তিনি বলছেন যে সন্দেহভাজন একজনকে পুলিশ আটক করেছে যিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইসলামিক স্টেটের দায় স্বীকারের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে রয়টার্সকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ইসলামিক স্টেট নয় বরং হোমগ্রোউন বা স্থানীয় ভাবে তৈরি হওয়া জঙ্গিরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত।
জঙ্গিদের যেসব ছবি আইএস প্রচার করেছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন আইএস র একটি পোস্টারের সামনে বন্দুক হাতে নিয়ে দাঁড়ালেই কি আইএস হয়ে গেলো ?
মিস্টার খান আবারো জেএমবিকেই এসব ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৭ জন বিদেশী ও তিন জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে জঙ্গিদের হাতে।
এর মধ্যে ১০ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ। তাদের বিদেশীদের মধ্যে ইটালি, জাপান ও ভারতের নাগরিকরা রয়েছে।
নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তাদের স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
ইটালির নাগরিকদের মৃতদেহ নিতে সেদেশের সরকার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছে। অন্যদিকে জাপানি নাগরিকদের স্বজনদের একটি দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও ঢাকায় এসেছেন।